ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে সেমিনার
দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থি সকল সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় সেমিনার।
সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় ‘জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ’-এর উদ্যোগে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুফতি রেজাউল করিম আবরার। প্রবন্ধ পাঠ করেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সাবেক সচিব ও শিক্ষা অধিকার সংসদের উপদেষ্টা ড. খ ম কবিরুল ইসলাম। এতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তি, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, গবেষকসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ মুসলমানের দেশ। সুতরাং তাদের অধিকার বাস্তবায়ন করা সাংবিধানিক অধিকার। আমাদের সুযোগ হলে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃজন করে তা বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা হলো একটা সমাজ, রাষ্ট্র ও মানবসভ্যতার ফাউন্ডেশন। ধর্মীয় শিক্ষা হলো যে ফাউন্ডেশনের মূল বিষয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মো. রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন এখনই দিতে হবে। অন্যথায় আমরা সকল দল মিলে সম্মিলিত কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক তার বক্তব্যে বলেন, ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের জন্য আমাদের সভা-সমাবেশ করতে হবে তা আমাদের প্রত্যাশা ছিল না।
জুলাই যোদ্ধা ও এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যে শিক্ষা কালচারকে ধারণ করে না তা একটা জাতির শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না।
খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, এদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ ইসলাম চর্চা করে। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মতামততে উপেক্ষা করে যারা গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের কাণ্ডজ্ঞান নেই। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক