নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা নেই, যত্রতত্র এলপিজি বিক্রি

চাঁদপুর জেলা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডার। একই দোকানে এলপিজির পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেলও, যা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
২০১৬ সালে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে একই ধরনের অনিয়ম থেকে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন নিহত হলেও পরবর্তী সময়ে প্রশাসনের তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
সম্প্রতি শহর ও উপজেলা পর্যায়ে দেখা গেছে মুদি, চায়ের দোকান, ফোন ও সার-কীটনাশক বিক্রেতাসহ বিভিন্ন দোকানে খোলা রোদে এলপিজি সিলিন্ডার রাখা হচ্ছে। অনেক দোকানে ২০-২৫টি পর্যন্ত সিলিন্ডার মজুদ রাখা হয়। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই সিলিন্ডারের নিরাপত্তা বা মেয়াদ সম্পর্কে জানে না।
বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, একটি দোকানে সর্বোচ্চ ১২ লিটারের আটটি অথবা বড় সাইজের তিনটি সিলিন্ডার রাখা যাবে। রোদে নয়, ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করাও বাধ্যতামূলক। তবে বাস্তবে এই নিয়ম মানা হচ্ছে না কোথাও।
সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকার স্যানেটারি মালামাল বিক্রেতা জহিরুল ইসলাম জানান, এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এলাকার অনেক দোকানে বিক্রি হয়, তিনিও তাদের মতো বিক্রি করেন।
রামপুর বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, সিলিন্ডার দোকানের সামনে না রাখলে ক্রেতারা জানবে কীভাবে। এজন্য দোকানের সামনেই রাখা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম এন জামিউল হিকমা বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার ও জ্বালানির বিক্রির বিষয়টি অবগত হলাম। অতি শিগগিরই এই বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বিস্ফোরক পরিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ভোক্তার সহজলভ্যতার কারণে স্থানীয় দোকানগুলোতে বিক্রির জন্য অনুমোদন লাগে না। রাস্তার ওপর রেখে বিক্রি করতে পারবে না। ঠান্ডা জায়গায় সিলিন্ডার রাখতে হবে। যেকোনো দোকানে ১২ লিটারের ৮ থেকে ১০টির বেশি সিলিন্ডার রাখতে পারবে না। ১২ লিটারের বেশি ওজনের হলে তিন থেকে চারটি রেখে বিক্রি করতে পারবে। অতিরিক্ত মজুদ করলে অবশ্যই বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স লাগবে।