বিশ্ব হার্ট দিবস উদযাপন করল এভারকেয়ার হাসপাতাল
বিশ্ব হার্ট দিবস আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর)। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে মিলে বিশ্ব হার্ট ফেডারেশন ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব হার্ট দিবস’ পালনের ঘোষণা দেয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরুত্ব সহকারে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিনটি উদযাপন করেছে এভারকেয়ার হাসপাতাল।
বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে দেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত এই হাসপাতাল। হার্টের সুস্থতা ও কার্ডিওভাস্কুলার রোগ সম্পর্কে জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই আয়োজন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন’-এর বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা, মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকার ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর ডা. এ কিউ এম রেজা, সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. শাহবুদ্দিন তালুকদার, ডা. শামস মুনওয়ার, ডা. আতিকুর রহমান, ডা. তামজীদ আহমেদ, এভারকেয়ার হাসপাতালের ঢাকা ও চট্টগ্রাম শাখার ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর ডা. তাহেরা নাজরীন, হার্ট ফেইলিওর ও অ্যারিদমিয়া ইউনিটের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. এম. আতাহার আলী, নন-ইনভেসিভ কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. নিঘাত ইসলাম, কার্ডিওথোরাসিক ও ভাস্কুলার সার্জারির সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কোঅর্ডিনেটর ডা. মো. জুলফিকার হায়দার, ডা. সোহেল আহমেদ, কার্ডিওথোরাসিক এনেস্থেসিয়ার সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর ডা. নিয়াজ আহমেদ, মেডিকেল সার্ভিসেসের বিভাগের ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ প্রমুখ।
মতবিনিময়ে পেশেন্ট ফোরামে বিভিন্ন রোগী ও তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীদের বিভিন্ন হৃদরোগবিষয়ক সমস্যা ও রোগ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা সবাইকে নিজেদের ও শিশুদের হার্টের প্রতি আরও যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন। দৈনন্দিন অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বর্জন করে স্বাস্থ্যসম্মত সমাজ গড়তে আহ্বান জানান এবং হার্ট সংক্রান্ত যেকোন সমস্যায় অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকার প্রতি আস্থা রাখার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা হৃদরোগ প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বলেন–কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব, যেমন–ওজন নিয়ন্ত্রণ করা, প্রতিদিন ব্যায়াম করা বা হাঁটা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ত্যাগ করা, স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে তোলা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা, মানসম্পন্ন ঘুম নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
জন্মগত হৃদরোগ পরিকল্পিত গর্ভধারণের তিন মাস আগে এমএমআর টিকা, ডায়াবেটিস মেলিটাস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভাবস্থায় টেরাটোজেনিক ওষুধ পরিহারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। তারা আরও বলেন শিশুর জন্মগত হৃদরোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ফিটাল ইকোকার্ডিওগ্রাফি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তারা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার ওপরও জোর দেন।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক