সৎ মায়ের হাতে চার বছরের শিশু খুনের অভিযোগ
 
নড়াইলে পাষণ্ড সৎ মায়ের হাতে চার বছরের এক শিশু খুন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাশেদুল নামে শিশুটিকে তার সৎ মা রহিমা প্রতিহিংসার কারণে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজন ও এলাকাবাসী এ বর্বরতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
অভিযুক্ত সৎ মাসহ দুজনকে পুলিশ আটক করেছে। আরও কেউ জড়িত কি না পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে জানিয়েছে।
এদিকে একমাত্র শিশু সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় বাবা আব্দুর রহিম। তাঁর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে মির্জাপুর পশ্চিমপাড়ার পরিবেশ।
পুলিশও স্বজনরা জানায়, স্বামী রহিমের সঙ্গে বনিবনা না হওয়া দুধের শিশুসন্তান রাশেদুলকে ফেলে তার মা ফারিয়া আড়াই বছর আগে চলে গিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে ঘর বাঁধে। রাশেদুলকে ফেলে তার মা ফারিয়া চলে গেলে শিশু রাশেদুল তার দাদা-দাদির আশ্রয়ে পালিত হতে থাকে।
পরে রহিমাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন আব্দুর রহিম। রহিমের সংসারে আসার পর থেকেই তিনি রাশেদুলকে কুনজরে দেখতেন, হিংসা করতেন। এরই একপর্যায়ে গতকাল সোমবার বিকেলে রাশেদুল নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গভীর রাতে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরই সবার সন্দেহ রাশেদুলের সৎমা রহিমার উপর গিয়ে পড়ে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদুলকে হত্যার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও একপর্যায়ে প্রতিহিংসার বশে তাঁর জায়া রুমার সহযোগিতায় রাশেদুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ডোবায় ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁর স্বীকারোক্তির পরই তাঁকে আটকে রেখে পুলিশে দেয় নিহত রাশেদুলের পরিবার ও এলাকার লোকজন।
নিহত শিশু রাশেদুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, রাশেদুলের মৃতদেহের গলায় নখের আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে, রহিমা তার জায়া রুমার সহযোগিতায় রাশেদুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

 
                   এম. মুনীর চৌধুরী, নড়াইল
                                                  এম. মুনীর চৌধুরী, নড়াইল
               
 
 
 
