ঐশী প্লাস লঞ্চ থেকে আরো তিন লাশ উদ্ধার
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় সন্ধ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া ঐশী প্লাস লঞ্চের আরো তিন যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে রাত পর্যন্ত বানারীপাড়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে দুই নারী-পুরুষ ও শিশুর লাশ উদ্ধার করেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
রাত পর্যন্ত মোট ২১ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হলো। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ছয়জন।
সর্বশেষ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম রুহুল আমিন (৩০)। তাঁর বাড়ি বরিশালের বানারিপাড়া উপজেলায়। তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্য হিসেবে পিরোজপুরে স্বরূপকাঠী উপজেলায় কর্মরত ছিলেন বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন বানারীপাড়ার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান।
গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের দাসেরহাট মজিদবাড়ী লঞ্চঘাট এলাকায় লঞ্চটি ডুবে যায়।
পরে আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি টেনে পানির উপরিভাগে তোলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক’। এর পর লঞ্চ থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করেন নৌবাহিনীর ডুবুরিরা।
বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যাত্রী জানান, গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বানারীপাড়া লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চটি ৪০-৫০ জন যাত্রী নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা উজিরপুরের হাবিবপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লঞ্চটি সন্ধ্যা নদীর ভাঙনকবলিত দাসেরহাট মজিদবাড়ী ঘাটে ভেড়ে। যাত্রী ওঠানামার একপর্যায়ে নদীতীরের একটি বিরাট অংশ ভেঙে লঞ্চের ওপর পড়লে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একদিকে কাত হয়ে তীব্র স্রোতে তলিয়ে যায়।
ডুবে যাওয়ার আগমুহূর্তে লঞ্চ থেকে তীরে ওঠা যাত্রী উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আলেয়া বেগম জানান, ঘাটে ভেড়ার পর মাত্র সাত-আটজন যাত্রী তীরে উঠতে পারে। এর পরই লঞ্চটি ডুবে যায়।
খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া লঞ্চের নিখোঁজ যাত্রীদের মধ্যে ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ উদ্ধার করা হয় আরো সাতজনের লাশ।

আকতার ফারুক শাহিন, বরিশাল