মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার উত্তর তরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ বুধবার দুপুরে পরীক্ষা দেওয়ার সময় ছাদ ধসে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম (৯) মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
 
আশরাফুল মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কোটাই গ্রামের আন্নাস হোসেনের ছেলে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গেছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

এদিকে, এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টি পুরোনো ওই ভবনটি ব্যবহার না করতে দুটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল জলিল মিয়া জানান, ১৯৯৪ সালে ওই বিদ্যালয়ে দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০০২ সালে পুরোনো ভবনের সঙ্গে নতুন আরো একটি দুই কক্ষবিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। পুরোনো ভবনের দুটি কক্ষে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হতো। কিছু দিন ধরে পুরোনো ভবনের ছাদে ফাটলের সৃষ্টি হলেও শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। আজ বুধবার সকাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সকালে প্রথম ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়।এরপর দুপুর ১টার দিকে পুরোনো ভবনে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৭২ শিক্ষার্থী গণিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয়। আধা ঘণ্টা পরে হঠাৎ ছাদের ফাটল থেকে বালু ও সিমেন্টের বড় আস্তর ধসে শিক্ষার্থীদের ওপরে পড়ে। এতে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের মধ্যে একজনকে দ্রুত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
 
এ ব্যাপারে ঘিওর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, ছাদ ধসে পড়ার খবর শুনে তিনি ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দিপক কুমার গোস্বামী ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। তাঁরা পুরোনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ দেখে দুটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়ে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন। আর বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের বাকি বিষয়ের পরীক্ষা পাশের উচ্চ বিদ্যালয়ে নিতে শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আল-মামুন।