চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কুমিরাদহ বিলটি সরকারিভাবে মৎস্যজীবীরা ইজারা নিলেও সেটি স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদ করায় মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মৎস্যজীবীরা। 

আজ বুধবার দুপুরে শিবগঞ্জ ডাকবাংলো ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্যজীবীরা এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মনাকষা হাজিপাড়া মৎস্যজীবী সমিতির প্রশান্ত কুমার দাস। এ সময় আরো তিনটি মৎস্য সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা, দুর্লভপুর ও বিনোদপুর ইউনিয়নের পাঁচটি মৌজার প্রায় ২২০ একর জলাশয় নিয়ে গঠিত কুমিরাদহ বিল। সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রায় ৪৮ বছর ধরে এই বিলটি ইজারা দেওয়া হচ্ছে। 

সব নীতিমালা মেনে ভূমি মন্ত্রণালয় ১৪২০ থেকে ১৪২৫ বাংলা সাল পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য মনাকষা হাজিপাড়া মৎস্যজীবী সমিতিকে এই বিল ইজারা দেওয়া হয়। বিল ইজারা নিয়ে শত শত মৎস্যজীবী পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। পাশাপাশি প্রতিবছর সরকারি কোষাগারে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা জমা হচ্ছে। 

মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করেন, এর মধ্যেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ুম রেজা চৌধুরী তাঁর লোকজন দিয়ে বিলটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। 

কাইয়ুম রেজা চৌধুরী ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। তিনি মৎস্যজীবীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিলের মাত্র সাড়ে ১৭ একর জমি সরকারি খাসজমি। এর বাইরে বাকি জমি ওয়াকফ স্টেটের। এ নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে শেষে বিল দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি বন্ধের দাবিতে শিবগঞ্জ ডাকবাংলো চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন মৎসজীবীরা।