যোগব্যায়াম প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন রাঙামাটির দীপন
দুশ্চিন্তা ও রোগমুক্ত জীবন গঠনে যোগব্যায়ামের ভূমিকা বিশ্বব্যাপীই সমাদৃত। তাই সারা পৃথিবীতেই বাড়ছে যোগচর্চা। ব্যতিক্রম নয় রাঙামাটিও। ধীরে ধীরে জেলায় ছড়াচ্ছে যোগব্যায়ামের জনপ্রিয়তা। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়েই বড় সাফল্য পেয়েছেন রাঙামাটির যোগব্যায়াম চর্চাকারীরা।
গত ১৭ ও ১৮ জুন ঢাকায় জাতীয় ইয়োগা (যোগব্যায়াম) প্রতিযোগিতায় রাঙামাটি জেলা থেকে অংশগ্রহণকারীরা একটি সোনাসহ জিতেছেন পাঁচটি পদক।
প্রতিযোগিতায় ৩২-ঊর্ধ্ব ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক জয় করে পাহাড়ে যোগব্যায়ামের পতাকা তুলে ধরেছেন দীপন কুমার ঘোষ। ২২ থেকে ৩২ বছর বয়স শ্রেণিতে রত্ন বিনয় চাকমা রৌপ্য পদক, ৩২-ঊর্ধ্ব ক্যাটাগরিতে দীপক দাশ রৌপ্য পদক লাভ করেন। এ ছাড়া ব্রোঞ্জ পেয়েছেন প্রদীপ দাশ ও সুমাইয়া ফারিয়া।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় দেশের ২৩ জেলা থেকে ৯৯ প্রতিযোগী অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি রাজেশ উইক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইয়োগা ফেডারেশনের সভাপতি হারুনুর রশীদ।
সোনাজয়ী দীপন কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমি ভীষণ আপ্লুত এই অর্জনে। কারণ, মাত্র অল্প কিছুদিন ধরেই আমরা এখানে ইয়োগা চর্চা শুরু করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক মানুষকে আমরা বিনা পয়সায় ইয়োগা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এবারের জাতীয় প্রতিযোগিতায় সাফল্যের পর আশা করছি, ভবিষ্যতে এখানে ইয়োগা চর্চার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হবে।’
দীপন কুমার ঘোষ রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘তাঁদের আন্তরিকতার কারণে আমরা এক বছর ধরে শহরের কুমার সমিত রায় জিমনেশিয়ামটি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পেরেছি বলেই এই সাফল্য এসেছে। আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
রৌপ্যপদকজয়ী রত্ন বিনয় চাকমা বলেন, ‘আমরা পাহাড়ে ধীরে ধীরে ইয়োগা চর্চাকে ছড়িয়ে দিতে চাই। মানুষের দুশ্চিন্তামুক্ত সুন্দর রোগহীন জীবন গঠনে ইয়োগা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

ফজলে এলাহী, রাঙামাটি