চুয়াডাঙ্গায় গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১০
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দলকা লক্ষ্মীপুর গ্রামে গতকাল শুক্রবার রাতে গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় দামুড়হুদা থানায় আজ শনিবার সকালে অজ্ঞাতনামা প্রায় দেড় হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের কয়েকজন জানান, দামুড়হুদার দলকা লক্ষ্মীপুর গ্রামে একটি নতুন মাদ্রাসা হয়েছে। ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আগামী রোববার দলকা লক্ষ্মীপুর হাইস্কুল মাঠে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে। এ জন্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা গত শুক্রবার ১০ টাকা রসিদ দিয়ে চাঁদা তুলতে থাকে। সন্ধ্যার পর কয়েকজন ব্যক্তি ওয়াজের জন্য চাঁদা না দিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। ওই সময় স্থানীয় পুলিশক্যাম্পের দুই সদস্য সাদা পোশাকে সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। তাঁরা চাঁদা তোলার অভিযোগ শুনে দুই ছাত্রকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যান।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামিরুল ইসলাম জানান, দুজনকে ধরে নেওয়ার পর গ্রামে গুজব ছড়ানো হয় দুই ছাত্রকে পুলিশ ক্যাম্পে মারধর করা হচ্ছে। এই কথা শোনার পর গ্রামের লোকজন ওই ক্যাম্প ঘেরাও করে ই্টপাটকেল ছোড়ে। এই সময় পুলিশ ১০-১২টি রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে রয়েছে স্বাধীন হোসেন (১৬), সেলিম হোসেন (১৬) , হুমায়ুন কবীর (১৭), আজাবুল ইসলাম (১৭) ও মিজানুর রহমান (১৭)। তাদের উদ্ধার করে রাত সাড়ে আটটায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা প্রায় দেড় হাজার গ্রামবাসীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক রবিউল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান জানান, হামলার ঘটনার তদন্ত চলছে। তা শেষ হলেই সংঘর্ষের কারণ জানা যাবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।

রফিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা