মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্যচর কৃষ্ণপুর গ্রামের এক গৃহবধূ কেরোসিনের আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে তিনি আজ সোমবার সকালে নিজ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে তাঁর স্বজনরা দাবি করেছে।

মৃত কাকলী আক্তার (২৪) পাশের চর কৃষ্ণপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই গ্রামের মাজেদ আলীর মেয়ে।

কাকলী আক্তারের স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জানায়, ২০০৭ সালে সাইফুলের সঙ্গে কাকলীর বিয়ে হয়। তাঁরা সাভারে পোশাক তৈরির একটি কারখানায় এক সঙ্গে কাজ করতেন। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। কয়েক মাস ধরে কাকলী মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। এ কারণে সন্তানদের বাবার কাছে রেখে চিকিৎসার জন্য কাকলীকে তাঁর খালা রাহেলা বেগমের বাড়ি মধ্যচর কৃষ্ণপুর গ্রামে নিয়ে রাখা হয়। ওই খালার পরিচর্যায় তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

রাহেলা বেগম জানান, আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে কাকলী তাঁর (রাহেলার) বাড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে নিজেই দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেন। প্রতিবেশী লিলি আক্তার তা দেখে চিৎকার করেন। এ সময় স্বজন ও স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে তাঁকে নিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে ঢাকার কল্যাণপুর এলাকায় কাকলীর মৃত্যু হয়। সেখান থেকে তাঁর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয় বলেও জানান তিনি।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় স্বজনদের কোনো অভিযোগ নেই। এ কারণে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হবে বলেও জানান ওসি।