যশোরে করোনার ভারতীয় ধরনের স্থানীয় সংক্রমণ শুরু
যশোরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের স্থানীয় সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। আজ মঙ্গলবার এমনটিই জানিয়েছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমদিকে ভারত থেকে ফিরে যশোরে কোয়ারেন্টিনে থাকা সাতজনের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরনের উপস্থিতি ধরা পড়ে। কিন্তু গতকাল সোমবার যে আটজন করোনা রোগীর শরীরে ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়, তাদের কেউই কখনো ভারতে যাননি। আর সে কারণেই তারা স্থানীয়ভাবেই সংক্রমিত হয়েছে বলে মনে করছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ টিমের সদস্য অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ।
এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে যশোরে করোনায় আক্রান্তের হার অনেকটাই কমেছে। এপ্রিলে যেখানে আক্রান্তের হার ছিল ২২ শতাংশ, সেখানে মে মাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যশোরে শনাক্ত হওয়া করোনার ভারতীয় এই ধরনটি ডবল মিউট্যান্ট না হলেও এটির সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। কিছুদিন ধরেই জেলায় করোনা রোগীর শনাক্তের সংখ্যা যেখানে দুই থেকে ৩৬-এর মধ্যে ওঠানামা করছিল, সেখানে আজ ২৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেছেন, সংক্রমণ হার কিছুটা কম থাকলেও ভারতফেরতদের কারণে কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানান, জেলায় বিশেষ লকডাউন দেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে জেলা সদরসহ উপজেলা সদরগুলোতে ব্যাপকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। না মানলে জরিমানাও করা হচ্ছে। বিশেষ করে স্থলবন্দর বেনাপোলে ভারতীয় ট্রাকচালক, হেলপারসহ অন্যরা যাতে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে তাদের জন্য নির্ধারিত স্থানের মধ্যেই থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত কঠোরভাবে নজরদারি করছে।

সাইফুল ইসলাম সজল, যশোর