অভিজিৎ রায়কে ‘কোপানো জঙ্গি গ্রেপ্তার’
ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার আসামি মো. আরাফাত রহমানকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের অপারেশন শাখার এক সদস্য বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।
আরাফাতের সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ। তাঁকে ধরিয়ে দিতে পারলে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ডিএমপি। তিনি অভিজিৎকে চাপাতি দিয়ে কোপ দেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. মাসুদুর রহমান জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার থানার আমিনবাজার বরদেশী এলাকা থেকে কাউন্টার টেররিজম বিভাগ আরাফাতকে গ্রেপ্তার করেছে। এতে সহায়তা করে ঢাকা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
ডিএমপি জানায়, আরাফাত গত ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির একুশে বই মেলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায় ও তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আর সেই উদ্দেশ্যে তিনিসহ অপর তিন সহযোগী চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন অভিজিৎ রায়কে। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ।
আরাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আনসার আল ইসলামের সংগঠনের বড় ভাইয়ের নির্দেশে এ হত্যায় তাঁরা অংশ নেন। এ ছাড়া তিনির জুলহাজ-তনয়, নিলয় ও দীপন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
ডিএমপি জানায়, অভিজিৎ রায় হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে কাউন্টার টেররিজমের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় লেখক অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন।
হত্যার ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক